“এবং প্রতিশ্রæতি পালন করো, কেননা প্রতিশ্রæতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে” সূরা : বনী ঈস্রাঈল ঃ আয়াত : ৩৪)
“তোমরা অল্লাহর নামে অঙ্গীকার করলে অঙ্গীকার পূর্ণ কর এবং ভঙ্গ করো না তোমরা আল্লাহকে তোমাদের জামিন করে প্রতিজ্ঞা দৃঢ় করার পর, আল্লাহ্ অবশ্যই তোমরা যা কর তা জানেন। সূরা : নাহল ঃ আয়াত : ৯১)
১. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ্ তা’আলার কাছে মর্যাদার দিক হতে নিকৃষ্টতম হবে ঐ ব্যাক্তি যে তার স্ত্রীর সঙ্গে শয্যা গ্রহণ করে এবং স্ত্রীও তার সঙ্গে শয্যা গ্রহণ করে। তারপর পরষ্পরের সঙ্গে মিলন হয় ও সহবাসের গোপন কথা লোকজনের কাছে প্রকাশ করে দেয়। (মুসলিম শরীফ)
২. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “ মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি ঃ (১) যখন কোন কথা বলে, তা মিথ্যা বলে (২) যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার কাছে যখন কোন আমানত রাখা হয় সে তার খিয়ানত করে। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)। মুসলিম শরীফের এক রেওয়াতে একটু বেশী রয়েছে। যদিও সে রোযা রাখে, নামায আদায় করে এবং মনে করে সে মুসলিম।
৩. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যে লোকের মধ্যে ৪টি দোষ পাওয়া যাবে সে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে ৪টির কোন একটি দোষ পাওয়া যাবে বুঝতে হবে তার মধ্যে নিফাকের অভ্যাস সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। সেগুলো হলো এই যে, (১) তার কাছে যখন কোন আমানত রাখা হয় সে তার খিয়ানত করে (২) কথা বললে মিথ্যা বলে (৩) ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে (৪) ঝগড়ায় লিপ্ত হলে গালি গালাজ করে। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)।
৪. হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে ইরশাদ করলেন, বাহরাইন থেকে মাল-সম্পদ এসে গেলে তোমাকে আমি এত পরিমান মাল দিব। বলাবাহুল্য বাহরাইন থেকে মাল আসার আগেই রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মৃত্যু হয়ে যায়। তারপর হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু খলিফা নিযুক্ত হন। ইতিমধ্যে বাহরাইন হতে মাল এসে গেল। হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আহŸানকারীকে নির্দেশ দিলেন, আহŸানকারীকে ডেকে বললেন, যার সঙ্গে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন ওয়াদা রয়েছে অথবা তার কাছে কোন পাওনা রয়েছে সে যেন আমার কাছে আসে। এ কথা শুনে আমি হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে এলাম। হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে বললাম, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এরূপ বলেছিলেন। হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে ভয়ে ভয়ে মেপে দিলেন। আমি শুনে দেখলাম পাঁচশত দিরহাম। হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আরও এর দ্বিগুন নিয়ে নাও। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)।
Leave a Reply